সৃষ্টিজগতে নবীজি (ﷺ) এর মত কেউ নেই

নবীজি (ﷺ) এর মত কেউ নেই

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) হলেন মহামানব । পৃথিবীর কোন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার তুলনা করা চরম বড় বেয়াদবি । একজন ঈমানদার, আশিকে রসুল কখনোই নবী (ﷺ) এর সঙ্গে পৃথিবীর কোন মানুষকে তুলনা করতে পারেনা । কিন্তু বর্তমান জামানায় অনেক ভ্রান্ত মতবাদের লোক নবী (ﷺ) সম্পর্কে বলছে উনি আমাদের মতই মানুষ । মনে রাখতে হবে উনি মানুষ বা মানব কিন্তু আমাদের মত নন । উনি হলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব এবং নূরের মানব ।

উম্মতের ইজমা হয়েছে যে, সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ হল নবীগণ আর আমাদের নবী (ﷺ) হলেন তাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। নবীগনের পরে শ্রেষ্ট হল আরশ বহনকারী চার ফেরেশতা ও রুহানিউন রেদওয়ান, মালেক ফেরেশতা, সাহাবায়ে কেরাম, তাবে-তাবেঈনগণ, শোহাদায়ে কেরাম, সালেহীনগণ ফেরেশতাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (ফাতওয়ায়ে শামী ১ম খন্ড ৫২৭)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ “আমি তোমাদের মত নই।” ( বুখারী, আস-সহীহ, ১৯৬২)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বিরতিহীন সওম পালন করতে নিষেধ করলেন। সহাবীগণ বললেন, আপনি বিরতিহীন সওম পালন করছেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের কে আছ আমার মতো? আমি তো রাত কাটাই যাতে আমার প্রতিপালক আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তারা যখন বিরত থাকতে অস্বীকৃতি জানাল,(তারা ইবাদতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন) তখন তিনি তাদেরসহ একদিন, তারপর আর একদিন সওম পালন করলেন। তারপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি চাঁদ আরো (কয়দিন) পরে উদিত হত, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের (সওম) বাড়াতাম। তিনি যেন তাদেরকে শাসন করছিলেন।(সহীহ বুখারী (كتاب التمنى)হাদিস নম্বরঃ ৭২৪২)

রাসূলে পাক (ﷺ) সৃষ্টির সমগ্র জগতের যা কিছু রয়েছে এসব কিছুর চেয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ, এমনকি কোন নবী- রাসূল ও আরশ বহনকারী ফেরেশতারাও রাসূলে পাক (ﷺ) এর সমতুল্য নয়। সেখানে যারা এসব কথা বেড়ায় রাসুল (ﷺ) আমাদের মতোই (নাউজুবিল্লাহ) তাদের জন্য আফসোস।

Leave a Comment